চোরাচালানের প্রমাণ পেলে অন্য জুয়েলার্সের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার : শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মইনুল খান বলেছেন, শুধু আপন জুয়েলার্সই নয়, আরও বেশ কয়েকটি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কাকরাইলে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। বিগত ২ দশকে বাংলাদেশে স্বর্ণ আমদানি না হলেও জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে ব্যবসা করছে, আপন জুয়েলার্সের মতো তাদের বিরুদ্ধেও কোনো অভিযোগ মিলেছে কিনা- জানতে চাইলে ড. মইনুল খান বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগ পেয়েছি। যে কারণে তাদের স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এমন আরও কয়েকটি জুলেয়ারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। আমরা সেসব অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করছি। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গ্রাহক কর্তৃক আপন জুয়েলার্সের বুকিং/অর্ডার করা স্বর্ণ ফেরত দেয়ার বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুল্ক কর্তৃপক্ষ, বাজুস ও আপন জুয়েলার্স মিলে ৫ সদস্যের সমন্বয়কারী কমিটি গঠন করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। কমিটির সদস্যরা হলেন- শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের যুগ্ম কমিশনার সাফিউর রহমান, উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেন ও এসএম শরিফুল হাসান, বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস) ও আপন জুয়েলার্সের ১ জন করে প্রতিনিধি। কমিটি গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের স্বর্ণ কীভাবে বুঝিয়ে দেয়া যায় সে বিষয়ে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন। ড. মইনুল খান বলেন, বাজেয়াপ্ত ৫৬৭ কেজি স্বর্ণের মধ্যে ২৯ কেজি গ্রাহকের অর্ডার করা। তাদের সে স্বর্ণ ফেরত দেয়ার জন্য কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। প্রয়োজনে প্রত্যেক গ্রাহকের সঙ্গে পৃথকভাবে যোগাযোগ করে তাদের স্বর্ণ ফিরিয়ে দেয়া হবে। তবে বাকি ৫৩৮ কেজি স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে আনা হয়েছে বলে দাবি করেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post