চট্টগ্রামে স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় কাস্টমস কর্মকর্তা কারাগারে

 

kbdnews ডেস্ক : স্বর্ণ চোরাচালানে সহযোগিতার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় আত্মসমর্পণের পর কাস্টমস কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূর এই আদেশ দিয়েছেন। ২০১৪ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নগরীর পতেঙ্গা থানায় মামলাটি দায়ের করেছিল। দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু বলেন, সমপ্রতি দুদক মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। অভিযোগপত্র দাখিলের পর নিয়ম অনুযায়ী আনিসুর রহমান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন। আসামির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল হক হেনা জামিনের পক্ষে আদালতে যুক্তি তুলে ধরেন। দুদকের পিপি এর বিরোধিতা করলে আদলত জামিন নামঞ্জুর করেন।

আনিসুর রহমান চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। ২০১৩ সালের ১ নভেম্বর চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যাত্রীর লাগেজ তল্লাশি করে ২৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। মধ্যপ্রাচ্যের দোহা থেকে দুবাই হয়ে আসা এয়ার এরাবিয়া ফ্লাইটের এক যাত্রী লাগেজটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে এসেছিলেন। এসময় বিমানবন্দরে কাস্টমসের এআরও আনিসুর রহমান এবং মোমেন মকসুদ বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশন বিভাগের ব্যবস্থাপকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মোমেন মকসুদের বিরুদ্ধে ওই লাগেজের মালিককে গ্রেফতার এড়িয়ে নিরাপদে বিমানবন্দর পার করে দেবার অভিযোগ উঠেছিল। এর ভিত্তিতে অনুসন্ধানে নামে দুদক। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহকারী পরিচালক রহমতউল্লাহ বাদি হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দুই বছর তদন্তের পর চলতি বছরের ২ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহকারী পরিচালক এইচ এম আক্তারুজ্জামান আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা করেন। এতে ৭ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন, কাস্টমসের এআরও আনিসুর রহমান, সিভিল এভিয়েশনের কর্মচারী মোমেন মকসুদ, আনসারের এপিসি ইলিয়াস, আনসার সদস্য মাহফুজার ও শাহিন, বিমানের ট্রাফিক হেল্পার নুরুদ্দন এবং লাগেজের মালিক আলাউদ্দিন।

Post a Comment

Previous Post Next Post