গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ।

 

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম:  গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার রইচউদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের ভূট্টা ,সরিষা ও মুগ ডাল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে বৈষম্য মূলক তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। এই তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন বস্নকে উপ সহকারী কৃষি অফিসারদের সাথে পরামর্শ না করে কৃষি অফিসার রইচ উদ্দিন তার গোপন রাজনৈতিক ড়্গমতার বলে অফিসে বসে মনগড়াভাবে তালিকা তৈরি করেছেন।তিনি সমভাবে সকল ইউনিয়নে কৃষকদের এসব ফসল চাষে আগ্রহী বা উদ্বুদ্ধ না করে বৈষম্য করেছেন।তিনি কাথুলী ইউনিয়নে ভূট্টা চাষে ২৫ জন,সরিষা চাষে ৮০ জন ও মুগ চাষে ১০ জন,তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে ভূট্টা চাষে ৩০ জন,সরিষা চাষে ৭০ জন ও মুগ চাষে ১০ জন ,কাজীপুর ইউনিয়নে ভূট্টা চাষে ১১০ জন,সরিষা চাষে ১০০ জন ও মুগ চাষে ১০ জন, বামন্দী ইউনিয়নে ভূট্টা চাষে ২৫ জন,সরিষা চাষে ৪০ জন ও মুগ চাষে ১০ জন, মটমুড়া ইউনিয়নে ভূট্টা চাষে ১১০ জন,সরিষা চাষে ৮৫ জন ও মুগ চাষে ১০ জন, ষোলটাকা ইউনিয়নে ভূট্টা চাষে ৩০ জন,সরিষা চাষে ৬০ জন ও মুগ চাষে ১০ জন, সাহারবাটী ইউনিয়নে ভূট্টা চাষে ১০ জন,সরিষা চাষে ৩০ জন ও মুগ চাষে ১০ জন, ধানখোলা ইউনিয়নে ভূট্টা চাষে ৪০০ জন,সরিষা চাষে ৯০ জন ও মুগ চাষে ১০ জন, রায়পুর ইউনিয়নে ভূট্টা চাষে ৭০ জন,সরিষা চাষে ৬০ জন ও মুগ চাষে ১০ জন, গাংনী পৌর সভায় ভূট্টা চাষে ৪০ জন,সরিষা চাষে ৬০ জন ও মুগ চাষে ১০ জন ড়্গুদ্র ও প্রানিত্মক চাষীদের নামের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।এসব চাষীদের আবাদ করতে জনপ্রতি নগদ ২ হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে।এছাড়াও ভূট্টা চাষে বিঘাপ্রতি ২০ কেজি বীজ,২০ কেজি ড্যাপ ও ১০ কেজি এমওপি (পটাশ) সার ,সরিষাচাষে ১ কেজি বীজ,২০ কেজি ড্যাপ,১০ কেজি পটাশ সার এবং মুগ চাষে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ড্যাপ ও ১০ কেজি করে পটাশ সার দেয়া হবে।
এব্যাপারে মটমুড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ ও সাহারবাটী ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক অভিযোগ তুলে বলেন,কৃষি অফিসার সংশিস্নষ্ট উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে এমনকি ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে সমন্বয় না করে গোপনে কৃষকদের ভর্তুকির টাকা আত্মসাত করার জন্য বৈষম্যমূলক তালিকা প্রস্তত করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার রইচউদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,জেলা কর্মকর্তার নির্দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে উপযোগী আবাদী জমি হিসাব করে সকলকে নিয়ে তালিকা তৈরী করা হয়েছে।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post