কুষ্টিয়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে এমআরএস ইন্ডাষ্ট্রিজ’র ২৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

বক্তব্য রাখছেন বিআরবি গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মজিবর রহমান

 M R S Kushtia

কুষ্টিয়া থেকে শরিফ মাহমুদ : সকলের আত্মরিক সহযোগিতার মাধ্যমে অনেক প্রতিকুল অবস্থার মোকাবেলা করে সেই সাথে এমআরএস ইন্ডাষ্ট্রিজ’র পণ্যের মান উন্নত হওয়ার কারণে আজ বিশ্ব দরবারে অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছে। স্বনির্ভর বাংলাদেশ সেই সাথে স্বনির্ভর কুষ্টিয়া গড়ার মানসে আমি সর্ব সময় প্রতিষ্ঠানটির সাথে আছি এবং বেকার সমস্যার সমাধানে আমি সব সময় চেষ্টা চালাচ্ছি। আর এটা সম্ভব হয়েছে কুষ্টিয়াবাসীর সার্বিক সহযোগিতায়। আমি সকল সময় আমার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীকে আমার পরিবারের সদস্য মনে করি। আর সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ তালা কে খুশী রাখতে হবে। তাহলে দেশ ও প্রতিষ্ঠানের মঙ্গল হবে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিআরবি গ্রুপের অন্যতম অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এম আর এস ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের ২৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে  কারখানা প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিআরবি গ্রুপের চেয়ারম্যান,বিশিষ্ট শিল্পপতি সিআইপি আলহাজ্ব মোঃ মজিবর রহমান এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, পরিবেশ বান্ধন, আধুনিক ও মান সম্পন্ন পন্য প্রস্তুতকারী একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে অর্জিত সুনামের অংশীদার আজ এখানে কর্মরত সকল সত্মরের শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। আমরা শিল্প প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক, সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিক কর্ম সমপ্রদানের পাশাপাশি অর্জিত গৌরব ও উন্নয়নের ধারাকে আরো শাণিত করে জাতীয় ও আনর্ত্মজার্তিক পর্যায়ে আমাদের অর্জন আরো সূদুর প্রসারী করতে চাই। আর এজন্য তিনি আবারো প্রতিষ্ঠানের সকল সত্মরের শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণসহ কুষ্টিয়াবাসী ও দেশবাসীকে সহযোগিতার আহবান জানান।

দেশের বাইরে থাকায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, এম আর এস ইন্ডাষ্ট্রিজ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: শামসুর রহমান।

আরও বক্তব্য রাখেন বিসিক’র ভারপ্রাপ্ত উপ মহা ব্যবস্থাপক নরেন্দ্র নাথ পাল, এম আর এস ইন্ডাষ্ট্রিজ’র মহা ব্যবস্থাপক কামরম্নল হাসান খান প্রমুখ।

২৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রঙ-বেরঙের পতকা, ফুলসহ বর্ণিল সাজে সাজানো হয় এম আর এস ইন্ডাষ্ট্রিজ’র গোটা চত্বর। সকালে জাতীয় পতাকা ও প্রতিষ্ঠানের পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরম্ন হয়। এরপর বেলুন উড়ানো হয়।

পরে প্রতিষ্ঠানের উত্তোরত্তর সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

Post a Comment

Previous Post Next Post