গাংনীর নওদাপাড়া গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের নামে দালাল হাফিজুল হাতিয়ে নিয়েছে ২ লড়্গাধিক টাকা

আমিরম্নল ইসলাম অল্ডাম  : মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের নওদাপড়া গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ পাড়ার ২৭ টি বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দেড় প্রায় ২ লড়্গাধিক টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ উেেঠছে।
এ গ্রাহকদের মধ্যে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ কমপেস্নক্‌্র ভবন রয়েছে।
পলস্নী বিদ্যুতের এক শ্রেনীর কর্মকর্তা/কর্মচারীর যোগসাজসে স’ানীয় দালাল হাফিজুর রহমান গ্রাহকদের কাছ থেকে এ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই সব গ্রাহকরা জানান, অনলাইনে আবেদন করতে ১ শ টাকা করে ফিস নেওয়ার কথা থাকলেও আবেদনের সময় ২ শ টাকা করে নিয়েছে। ওয়্যারিংসহ মালামাল কিনতে নেওয়া হয়েছে ৩ হাজার টাকা, পোল পোতার সময় প্রতি আবেদনকারীর নিকট থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা, পলস্নী বিদ্যুতের পোল স’ানানানত্মরের জন্য জনৈক তিন ব্যাক্তির কাছ থেকে তিন হাজার টাকা উৎকোচ নিয়েছে। এছাড়া পোল সরবরাহের জন্য নিয়েছে জন প্রতি তিন ৫ শ টাকা বকসিস হিসেবে । এছাড়া বিদ্যুতের মিটারের জন্য সাড়ে ১২ শ টাকা ও ড্রপ তারের জন্য দেড় থেকে তিন হাজার টাকা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছেন বিদ্যুতের দালাল হাফিজুল ইসলাম।
এবিষয়ে দালাল হাফিজুল ইসলাম জানান, তিন হাজার টাকা করে ওয়্যারিং ও অনলাইনের জন্য ২ শ টাকা করা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বখসিসের জন্য ৫ শ টাকা ও মিস্ত্রিদের খাওয়ার জন্য এক পোয়া করে চাল ও কিছু টাকা তোলা হয়েছিল। সি নিজেকে কাজীপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পরিচয় দিয়ে বলেন, এসব না করলে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবেনা।
এব্যাপারে পলস্নী বিদ্যুতের গাংনী জোনাল অফিসের ডিজিএম রমেন চন্দ্র জানান, এলাকার সচেতনতা বাড়ানোর জন্য এলাকার গ্রাহকদের উদ্যোশ্যে মাইকিং করা হয়েছে। বলা হয়েছে কোন দালাল নয়, পলস্নী বিদ্যুৎ অফিসের সাথে যোগাযোগ করেই বিদ্যুৎ নিতে হবে। এছাড়া বিদ্যুত নিতে কোন টাকা পয়সা লাগবেনা বলেও মাইকিং এ জানানো হয়েছে। এ বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস’া নেওয়া হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post