মেহেরপুরও হতে পারে কৃষি শিল্পাঞ্চল এলাকা

শিল্পাঞ্চল এলাকা

স্টাফ রিপোটারঃ মেহেরপুর জেলাটি রাজনৈতিকভাবে ১৯৭১ সালে পরিচিতি লাভ করলেও প্রয়োজনীয় পরিকল্পনার অভাবে জেলাটি সেই মাত্রায় এগিয়ে যায়নি। সুতরাং এর দায়ভার কে নেবে এমন প্রশ্নের উত্তর মিলছে না আজ ৪৫টি বছর। দিনের পর দিন স্থানীয় রাজনীতিতে ঐক্যের সফলতা না থাকাতে এখানে সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে কোন বড় শিল্প,কল-কারখানা গড়ে ওঠেনি। অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিষয়টি সেইভাবে হয়নি দৃশ্যমান। যেকারনে দিন দিন বাড়ছে শিক্ষিত বেকারত্বের সংখ্যা। অন্যদিকে মেহেরপুর কৃষি প্রধান জেলাগুলোর একটি জেলা হওয়াতে ধানের পাশাপাশি অর্থকরী ফসল ও সবজি চাষের মাধ্যমে কৃষকরা আয় করে থাকে, মৎস্যখাতের ব্যাপক প্রসার হচ্ছে, পোল্ট্রি ও পশুপালনে এসেছে আশাতীত সাফল্য। মেহেরপুরের কৃষি পণ্য দেশের ১০টি জেলাতে যোগান দিয়ে যাচ্ছে কয়েকযুগ আম লিচু ফলজে জেলাটি হয়েছে অনেক আগেই সমৃদ্ধ। পুরো বাংলাদেশ জুড়ে মেহেরপুরের আম লিচুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবুও জেলাটি কি কৃষি জোন হিসাবে সেইভাবে মূল্যায়ন করা হয়না। অপরদিকে বিসিক শিল্প নগরী গড়ে উঠলেও দীর্ঘ মেয়াদি বা টেকসই উন্নয়নের জন্য ভারী বা বৃহত্তায়ন শিল্প কল-কারখানা গড়ে উঠেনি। এবিষয়ে উক্ত বিসিক নগরীতে উদ্দোক্তারা ব্যক্তি মালিকানায় ক্ষুদ্র, মাঝারী কারখানা সৃষ্টি করলেও এদের প্রতিষ্টিত করতে সরকার সেইভাবে আর্থিক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসেনি। এদিকে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় অর্থনীতিবিদরা মনে করেন দরকার পরিকল্পিত কৃষি শিল্পায়ন, উন্নয়নে চাই সমন্বিত উদ্দ্যোগ, সমস্ত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে এবং সৃষ্টি করতে হবে কৃষি শিল্পাঞ্চল। তাহলেই জেলাটির প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ পাবে অর্থনীতিতে স্বাধীনতা, জেলাটি হবে বিভিন্ন ভাবে সমৃদ্ধ।

Post a Comment

Previous Post Next Post