KBDNEWS: অর্থনৈতিকভাবে ‘ভয়াবহ অস্থিতিশীল’ ২০১৫ সালেও ‘বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর’ হয়েছে সিঙ্গাপুর। ২০১৪ সালে টোকিও’কে সরিয়ে সিঙ্গাপুর সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর হিসেবে শীর্ষস্থান দখল করেছিল। দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) করা ঐ সূচকে সিঙ্গাপুর ‘খরুচে শহরের’ তালিকায় জুরিখ, হংকং, জেনেভা ও প্যারিসকে হারিয়ে দিয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক শহরের তুলনায় অন্য শহরে জীবনযাপনের খরচ কেমন, এ বিবেচনায় মোট ১৩৩টি শহরের মধ্যে এই জরিপ চালায় ইআইইউ।
ব্যয়বহুলের তালিকায় লন্ডন ও নিউইয়র্কের স্থান হয়েছে যথাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম। সবচেয়ে ‘সস্তা’ শহর হিসেবে জাম্বিয়ার রাজধানী লুসাকার নাম এসেছে। এরপরই আছে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু ও মুম্বাই।
তালিকার ‘সস্তা’ ১০টি শহরের ৫টিরই অবস্থান ভারত ও পাকিস্তানে। ইআইইউ’র ঐ সূচকে ২০১৫ সালকে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য ‘ভয়াবহ অস্থিতিশীল’ বছর ছিল বলে উল্লেখ করেছেন গবেষকরা।
ডলারের মানের পরিবর্তন, তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম পড়ে যাওয়া এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতায় মুদ্রার দরপতনের সঙ্গে মানিয়ে চলার কারণে তালিকার স্থানগুলো প্রায়ই পরিবর্তিত হচ্ছে বলে তাদের ভাষ্য।
গবেষকরা বলেন, ২০১৫ সালে ‘খরুচে শহর’ হওয়া সিঙ্গাপুরের জীবনযাত্রার খরচ বছরখানেক আগেও (২০১৪ সালে) নিউইয়র্কের চেয়ে ১০ শতাংশ কম ছিল। নিত্যপণ্যের দাম কমে যাওয়ার কারণে কোন কোন দেশ অর্থনৈতিক সংকোচনের তীব্র চাপে পড়ায় তালিকায় থাকা শহরগুলোর স্থানচ্যুতি ঘটছে বলে মন্তব্য করেন জরিপ দলের অন্যতম সম্পাদক জন কোপস্টেক। ‘অন্যদের মুদ্রার দুর্বলতার কারণে এই সংকোচন ঘুর্ণায়মান মুদ্রাস্ফীতির সৃষ্টি করছে।’ ১৭ বছর ধরে এ ধরনের জরিপ কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলেও গেল বছরের মতো এত ‘অস্থিতিশীল’ বছর আগে দেখেননি বলেও জানান এ গবেষক।