মেহেরপুর থেকে বিগত ১৬ বছরে বিভিন্ন সঞ্চয় ঋনদান সমিতি আত্মসাৎ করেছে প্রায় শত কোটি টাকা

সঞ্চয় ঋনদান সমিতি

মুহম্মদ মহসীন: ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯২ জন জনসংখ্যার মেহেরপুর জেলাটিতে গত ১৪ বছরে বিভিন্ন ঋনদানকারী সমবায় সমিতি ও যুবক এছাড়াও ডেসটিনি স্থায়ী আমানতকারীদের প্রায় শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গেলেও আজও আর্থিক কেলেঙ্কারীর হোতাদের জেলা সমবায় প্রতিষ্ঠানটি আইনের আওতায় এনে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে পারেনি। কিন্ত কেন কয়েকজন কর্মকর্তার দায়িত্বহীনতায় হাজার হাজার আমানতকারীরা পথে বসলো সেটি কাদের জন্য এই সমস্ত অর্থ আত্মসাৎকারীদের একটি ঘটনারও বিচার হয়নি। এমনই সব প্রশ্নের আজ জবাব চাইছে জেলা সমবায় অফিসটির কাছে সাধারন মানুষ। অন্যদিকে মেহেরপুরের সঞ্চয়মনা মানুষকে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করে অর্থ আত্মসাৎ করতে এসেছিল ২০০০ সালে যুবক, ২০০২ সালে ডেসটিনি, ২০০৩ সালে এহসান সোসাইট বাংলাদেশ, ২০১০ সালে জনতা, এভারগ্রীণ,আইডিয়াল, বাদিয়াপাড়া সঞ্চয় ঋনদান সমিতি, ২০১২ সালে মেধাবী, অঙ্গীকার, সততা, শেল্টার ঋনদান সমিতি উল্লেখ্য। তবে জনতা সঞ্চয় ঋনদান সমিতি আজো মাঠ পর্যায়ে টিকে আছে কিন্ত এর মধ্যে তারা অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এদিকে আমানতকারীরা তাদের জমাকৃত অর্থ প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ছাড় করাতে পারছে না। এই নিয়ে চলছে হাজারো অভিযোগ। এছাড়াও জনতা সঞ্চয় ঋনদান সমিতির মালিক অন্যজেলার মানুষ সুতরাং অন্যজেলার মানুষটি মেহেরপুর সমবায় সমিতির কাছ থেকে রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে এর কতটুকু আছে বৈধতা। অপরদিকে স্থানীয় অর্থনীতিবিদ ও সচেতন ব্যক্তিরা বলছে জেলা সমবায় অফিসটির তৎকালীন দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার জন্যই বিভিন্ন সঞ্চয় ঋনদান সমিতি প্রায় ১০০ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎ করে পালিয়ে গেছে (চলবে)।

Post a Comment

Previous Post Next Post